ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এয়ারপোর্ট থানা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে হয়রানির শিকার পুলিশ কর্মকর্তা।

এয়ারপোর্ট থানা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে হয়রানির শিকার পুলিশ কর্মকর্তা।

নিজস্ব সংবাদ :

নিজস্ব প্রতিবেদন।।
মাদক জব্দ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে
নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এ-থানার দায়িত্বরত প্রত্যেক সদস্য অত্যন্ত দুরদর্শীতার সাথে যথাযথ আইনী তদন্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের মধ্য দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতিতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে। যদিও সক্রিয় এ কার্যাদিতে প্রায়সময়-ই অসাধুদের রোষানলেও পড়তে হচ্ছে তাদের। তথাপি আরোপিত দায়িত্ব পালনে বিরামহীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে থানা পুলিশের সদস্যরা।
সম্প্রতি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা জব্ধসহ এক আসামীকে গ্রেপ্তার ও দুইজনকে সন্ধেহভাজন আদালতে সোপর্দের ঘটনায় একটি অসাধু মহলের রোষানলে পড়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন সদস্য। জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট এয়ারপোর্ট থানাধীন নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডস্থ কলাডেমা স্কুলের সামনে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল এসআই ইদ্রিস, এএসআই মিরাজ উদ্দিনসহ ৬ জন পুলিশের একটি টিম। ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে চেকপোস্টে শাওন মিয়া নামের এক যুবককে সন্ধেহভাজন মনে হলে তল্লাশি চালানোর পর তার কাছ থেকে ৪০ পিসের সমমান ৪ গ্রাম ইয়াবা উদ্বার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ইয়াবাসহ শাওনকে গ্রেপ্তার করে নিয়মিত মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ওইদিনই রাত আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে একই চেকপোস্টে আটক হয় শামীম মুন্সি ও সাইমুন আহমেদ নামের দুই যুবক। তারা দু’জনেই ইয়াবা সেবন করে মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন বলে আলামতে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এসআই ইদ্রিস জানান, সাথে কিছু না পেলেও তাদের শরীর থেকে ইয়াবা সেবনের গন্ধ পাওয়া যায় । গোপন সংবাদে তথ্য পেলেও চেকপোস্টের কথা হয়তো আগে থেকেই টের পায় এই দুজন।
এসআই ইদ্রিস জানান, তাদেরকে সন্ধেহভাজন আটক করে ঐসময় থানা নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের ৮১/ সন্দেহভাজন ধারায় আদালতে পাঠানো হয়। নিয়মানুযায়ী এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম কিংবা অর্থের কোন লেনদেন হয়নি। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের পৃথক অভিযানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আটক করা হলে যথারীতি আইনের প্রয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে নিয়মের কোন ব্যত্যয় হয়নি। অথচ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা অপ-প্রচার চালায় একটি মহল। যা নিন্দনীয়। এদিকে দুইটি অভিযানে একজনকে ইয়াবাসহ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ও অন্য দুইজনকে সন্ধেহভাজন রাত ১২ টার দিকে আটক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সময় ভিন্ন। কিন্ত গণমাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে মিথ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে। মুলত একটি পক্ষের অসাধু পাঁয়তারা হাসিল না হওয়ায়ই এমন অপ-তৎপরতা চালানো হয়েছে।
এদিকে জানা গেছে, মাদক উদ্বার, জব্ধ ও আসামী গ্রেপ্তারে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তৎপর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে একাধিক মাদক উদ্বার ও আসামিদের গ্রেপ্তারে একাধিক পুলিশ সদস্য প্রশংসা কুড়িয়েছে বারংবার। এরই মধ্যে এসআই ইদ্রিস দুরদর্শীতার পরিচয় দিয়ে মাদক জব্ধ ও আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ ও জনগণের আস্থা অর্জন করে যাচ্ছেন। মাদক নির্মুলে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে একটি মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়তে হয়েছে এসআই ইদ্রিসকে বলে ধারণা সহ কর্মীদের।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৪০ বার পড়া হয়েছে

এয়ারপোর্ট থানা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে হয়রানির শিকার পুলিশ কর্মকর্তা।

এয়ারপোর্ট থানা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে হয়রানির শিকার পুলিশ কর্মকর্তা।

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদন।।
মাদক জব্দ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে
নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এ-থানার দায়িত্বরত প্রত্যেক সদস্য অত্যন্ত দুরদর্শীতার সাথে যথাযথ আইনী তদন্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের মধ্য দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতিতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে। যদিও সক্রিয় এ কার্যাদিতে প্রায়সময়-ই অসাধুদের রোষানলেও পড়তে হচ্ছে তাদের। তথাপি আরোপিত দায়িত্ব পালনে বিরামহীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে থানা পুলিশের সদস্যরা।
সম্প্রতি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা জব্ধসহ এক আসামীকে গ্রেপ্তার ও দুইজনকে সন্ধেহভাজন আদালতে সোপর্দের ঘটনায় একটি অসাধু মহলের রোষানলে পড়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন সদস্য। জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট এয়ারপোর্ট থানাধীন নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডস্থ কলাডেমা স্কুলের সামনে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল এসআই ইদ্রিস, এএসআই মিরাজ উদ্দিনসহ ৬ জন পুলিশের একটি টিম। ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে চেকপোস্টে শাওন মিয়া নামের এক যুবককে সন্ধেহভাজন মনে হলে তল্লাশি চালানোর পর তার কাছ থেকে ৪০ পিসের সমমান ৪ গ্রাম ইয়াবা উদ্বার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ইয়াবাসহ শাওনকে গ্রেপ্তার করে নিয়মিত মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ওইদিনই রাত আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে একই চেকপোস্টে আটক হয় শামীম মুন্সি ও সাইমুন আহমেদ নামের দুই যুবক। তারা দু’জনেই ইয়াবা সেবন করে মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন বলে আলামতে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এসআই ইদ্রিস জানান, সাথে কিছু না পেলেও তাদের শরীর থেকে ইয়াবা সেবনের গন্ধ পাওয়া যায় । গোপন সংবাদে তথ্য পেলেও চেকপোস্টের কথা হয়তো আগে থেকেই টের পায় এই দুজন।
এসআই ইদ্রিস জানান, তাদেরকে সন্ধেহভাজন আটক করে ঐসময় থানা নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের ৮১/ সন্দেহভাজন ধারায় আদালতে পাঠানো হয়। নিয়মানুযায়ী এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম কিংবা অর্থের কোন লেনদেন হয়নি। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের পৃথক অভিযানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আটক করা হলে যথারীতি আইনের প্রয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে নিয়মের কোন ব্যত্যয় হয়নি। অথচ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা অপ-প্রচার চালায় একটি মহল। যা নিন্দনীয়। এদিকে দুইটি অভিযানে একজনকে ইয়াবাসহ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ও অন্য দুইজনকে সন্ধেহভাজন রাত ১২ টার দিকে আটক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সময় ভিন্ন। কিন্ত গণমাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে মিথ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে। মুলত একটি পক্ষের অসাধু পাঁয়তারা হাসিল না হওয়ায়ই এমন অপ-তৎপরতা চালানো হয়েছে।
এদিকে জানা গেছে, মাদক উদ্বার, জব্ধ ও আসামী গ্রেপ্তারে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তৎপর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে একাধিক মাদক উদ্বার ও আসামিদের গ্রেপ্তারে একাধিক পুলিশ সদস্য প্রশংসা কুড়িয়েছে বারংবার। এরই মধ্যে এসআই ইদ্রিস দুরদর্শীতার পরিচয় দিয়ে মাদক জব্ধ ও আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ ও জনগণের আস্থা অর্জন করে যাচ্ছেন। মাদক নির্মুলে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে একটি মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়তে হয়েছে এসআই ইদ্রিসকে বলে ধারণা সহ কর্মীদের।